• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
শিরোনামঃ
নাটোরে রুম টু রিডের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন সালমান হত্যার ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলায় গেস্খফতার-১ নড়াইল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রাইভেট হাসপাতাল অনার্স এসোসিয়েশনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে রুগীরা শৈলকুপায় বিষধর সাপের পানি খাওয়াতে গিয়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজন আটক টিসিবির পণ্য মোড়ক বদলে বিক্রি করায় নড়াইলে দোকানিকে জরিমানা ভাটায় যাত্রা! জোয়ারের সময় বেঁধে রাখা! জোয়ার-ভাটার সাথে জীবনটা বাঁধা নড়াইলে বিচার প্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় হুসাইন নামের শিশু নিহত

পদ্মা সেতু প্রকল্পে লুট: সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের নামে মামলা

রিপোর্টার নাম: / ৩৬ জন দেখেছে
আপডেট : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫

মাদারীপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

 

আজ বুধবার দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিক রহমান মামলাটি করেন।

 

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে সরকারি খাস জমি ও অর্পিত সম্পত্তি ও অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এই ২৩ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক আগে মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখা কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক।

 

এছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার রাসেল আহমেদ ও নাসির উদ্দিন এবং মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুধাংশ কুমার মন্ডলসহ মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্পসহ ৫টি এল এ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেয়। ২৩ টি চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয়। তৎকালীন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতির সাথে সারাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়া একই সময় কর্মরত সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহম্মেদ ও মো. নাসির উদ্দিন নামের দুই সার্ভেয়ারও জড়িত ছিল। স্থানীয় একটি চক্রের সাথে মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারী, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোসনা বেগম, আখি বেগম, আলম আলী বেপারী, হাছিনা বেগম, আছমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান, সুধাংশু কুমার মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

 

মাদারীপুর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, ২০২২ সালে আমরা এ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা পাই। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে এ ঘটনার তথ্য উপাত্তসহ প্রমাণ সংগ্রহ করার পর এ বিষয়ে মামলা করার অনুমোদন পাই। আজ বুধবার (৫ মার্চ) আমরা এ বিষয়টি মামলা হিসাবে রুজু করি। এখন আমরা আসামিদের আটক করার জন্য চেষ্টা করব। এ বিষয়ে দ্রুতই অভিযান শুরু করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো নিউজ