এটারও অনুমতি (সোমবার) আমরা দিয়েছি। জাপান থেকে গাড়ি আমদানি করা হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছিলেন, ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। তবে এখনো দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে, তখন দেশে আসার তারিখ নির্ধারণ করতে পারেন তারেক রহমান।
তবে বিএনপি যেভাবে চাইবে, সেভাবে তাঁর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তারেক রহমান যখন দেশে ফিরবেন, তখন আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, সব করা হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব চাহিদা দেওয়া হবে, সব নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো চাহিদাপত্র দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি যখন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলেন, তখন বিএনপির চাহিদা অনুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।’
পুলিশ প্রটোকলের বাইরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। এটি চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)। এই ফোর্সে ১০ জন সদস্য আছেন। বেগম খালেদা জিয়া কোথাও গেলে তাঁর নিরাপত্তায় বিশেষ পোশাকে এই সদস্যদের দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সিএসএফের ক্যাপাসিটি নিয়ে আমি মোটেই সন্তুষ্ট না। তাঁদের সে রকম নিরাপত্তা দেওয়ার সক্ষমতা আছে কি না, তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান। উনি (তারেক রহমান) দেশে এলে তো বাসায় বসে থাকবেন না। আগামী নির্বাচনে উনাকে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়াতে হবে। বাংলাদেশ এত জনাকীর্ণ এলাকা, জ্যাম—এটা চিন্তা করেই উনার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। নিরাপত্তাব্যবস্থা যত দূর সম্ভব নিশ্ছিদ্র করার চেষ্টা করছি। দেশে ফেরার পর তাঁকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে।’